নোটিশ :
সারাদেশে জেলা উপজেলায় মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার নেবে গুড নিউজ বাংলা, আগ্রহীদের জি মেইলে সিভি পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা গেল gdnd2025@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
ড. জাকির নায়েক ২৮শে নভেম্বর ঢাকায় আসছেন আমাদের কি মরে প্রমাণ করতে হবে যে আমরা অসুস্থ: আদালতে দীপু মনি হাজীগঞ্জে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে জামায়াত–বিএনপির সং”ঘর্ষ, জামায়াত নেতার অবস্থা আশংকা জনক মুরাদনগরে ঘরের দরজা ভেঙে হিন্দু নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বিমানে স্ত্রীর হাতে মার খেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এখন সবাই বাহবা দিচ্ছে! আগে আপাকে দিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করলেন নববধূ ভারতের প্রায় ৩শ’ মসজিদ-মাদরাসা গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে অপরাধী বানিয়ে দিল

বাঁশখালী হত্যার ১৭ বছর: বিচারের অপেক্ষা আর কত?

২০১৯ সালের ২৩ জুন উচ্চ আদালত মামলার বিচার ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়ার পর পেরিয়ে গেছে ১৬টি মাস। কিন্তু বিচার শেষ হওয়া তো দূরের কথা অর্ধশতের বেশি সাক্ষীর অর্ধেকের বেশি সাক্ষ্য এখনও নেওয়া হয়নি। এত দিনেও বিচার না পেয়ে নিরাশ পরিবারটির সদস্যরা।
২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুর গ্রামের শীলপাড়ায় বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে গান পাউডার ছড়িয়ে আগুনে পুড়িয়ে নারী-শিশুসহ ১১ জনকে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলেন- তেজেন্দ্র লাল শীল (৭০), তার স্ত্রী বকুল শীল (৬০), ছেলে অনিল শীল (৪০), অনিলের স্ত্রী স্মৃতি শীল (৩২), অনিলের তিন সন্তান রুমি শীল (১২), সোনিয়া শীল (৭) ও চার দিন বয়সী কার্তিক শীল, তেজেন্দ্র শীলের ভাইয়ের মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদি শীল (১৭), অ্যানি শীল (৭) এবং কক্সবাজার থেকে বেড়াতে আসা আত্মীয় দেবেন্দ্র শীল (৭২)।
সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পাওয়া তেজেন্দ্র শীলের ছেলে বিমল শীল পরে বাদি হয়ে মামলা করেন। এরপর ১৭ বছর মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিমল।
বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশার কথা জানিয়ে বিমল শীল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলা চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। কোনো সহযোগিতাও পাচ্ছি না। সরকার যদি মামলা পরিচালনার ভার নিত।
“বছর ঘুরলে শুধু পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হয়, এটুকুই। কেউ আর খবরও নেয় না। মা-বাবা হারালাম। আর অবশিষ্ট কিছুই নেই।”
শুরু থেকে এই মামলার বিচারের দাবিতে সরব বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাণা দাশগুপ্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০০১-২০০৬ এই সময়ে দেশে যে কয়টি লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছিল তার মধ্যে বাঁশখালীর এই হত্যাকাণ্ড একটি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ঘটনার বিচার হয়নি।
“অনতিবিলম্বে বাঁশখালী ১১ হত্যা মামলার বিচার জাতি দেখতে চায়। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা জীবদ্দশায় বিচার পাবে না বলে আশঙ্কা করছেন।”
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষী হাজির করতে না পারায় এবং প্রায় আট মাস ধরে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের পদ খালি থাকায় বিচার কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি

Design & Development BY : ThemeNeed.com