ঘটনার কারণ না বিশ্লেষণ না করে যে কাউকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধী বানিয়ে দেওয়া সহজ।
পুলিশ কর্মকর্তা পলাশ সাহার আত্ম’হননে সোশ্যাল মিডিয়া তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে অপরাধী বানিয়ে দিল। বাস্তবতায় পলাশ সাহার মায়ের কঠোর নীতির সমালোচনা হয়নি। মা এবং বউ এই দুই আদর্শ রক্ষা করতে গিয়ে অসহায় পলাশ সাহা পরপারে। আমাদের সমাজে এখনো এমন কর্কশ কণ্ঠের শাশুড়ীরা আছেন, যাদের কঠোর নীতি দিয়ে পরিবারকে আগলে রাখতে গিয়ে বড় বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়। যার উদাহরণ পলাশ সাহা।
মাত্র কুড়ি বছর বয়সে অন্তঃসত্ত্বা বিধবা নারী বুঝে পৃথিবীটা কত অসহায়।
হয়তো পলাশ সাহা উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় পরিবারের এমন কিছু অনৈতিক চিন্তাভাবনার প্রতিবাদ করতে পারেনি। পরিবারের প্রতি সম্মান এবং আদর্শ দেখাতে গিয়ে নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
অপরদিকে বাবার হত্যা’কারী মেয়েকে সুপারহিরো বানিয়ে দিল। ঘটনার অন্তরালে মেয়ের অপরাধ ঢাকা পড়ে গেল। বাস্তবতায় দেখা গেল মেয়ের অবাধ চলাফেরায় পিতার বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মিথ্যা দর্শনের অভিযোগে জেল খাটেন বাবা। জেল থেকে বের হয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। বুকে আপন সন্তান।
যে কোন ঘটনা না জেনে হিরো থেকে ভিলেন অথবা ভিলেন থেকে হিরো বানানোর মন মানসিকতা থেকে সরে আসতে হবে
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Leave a Reply