প্রথমে পুলিশ দিয়ে ছেলেটাকে গ্রেপ্তার করা হলো। এরপর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যখন ঘোষণা করলো – ওদের সহপাঠীকে ছেড়ে না দিলে ডিবি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। ঠিক তখনই এই ছবির আবির্ভাব। মাহফুজ নিজে গিয়ে ছাড়িয়ে এনেছে! এখন সবাই বাহবা দিচ্ছে! আগে আপাকে দিত। এখন এদের দিচ্ছে। দাবি মেনে নেয়ার পরেও তো এই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেত। সে তো বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের জিম্মায় ছিল। কিন্তু ক্ষমতা দেখাতে হবে না! নয়া বন্দোবস্ত!
২৬ ঘন্টা ডিবিতে থাকা জবি শিক্ষার্থী হুসাইনকে সবচেয়ে বেশি (বারবার) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সবকিছু চ্যাক করা হয়েছে। ভাগ্য ভালো সে কোনো রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল না। ঘটনার পর কোনো তদন্ত ছাড়াই তাকে ছাত্রলীগ এবং শিবির বানানো হয়েছিল।
সে বলেছে, তাকে আসামিদের সাথে জেল হাজতে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত ছিল। তবে তাকে কোনো ধরনের শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। একজন মন্ত্রীর গায়ে বোতল নিক্ষেপ করা অবশ্যই অন্যায়। এক্ষেত্রে তার ভাগ্য এবং পরিস্থিতি ভালো। অতীতে এসবের জন্য অনেক বেশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে অনেককে। জিজ্ঞাসাবাদ আর ২৬ ঘন্টা রাখা ছাড়া আর কিছু করা হয়নি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Leave a Reply